• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভারত নয়, ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা: মৎস উপদেষ্টা

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
ভারত নয়, ইলিশ খাবে বাংলাদেশিরা: মৎস উপদেষ্টা

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। ইলিশকে পূজার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবেও বিবেচনা করেন অনেকে। এই দুর্গাপূজার আগে কলকাতার মানুষের জন্য ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার পূজায় পশ্চিমবঙ্গে আর ইলিশ পাঠাবে না বাংলাদেশ।

অন্তর্র্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ক্ষমা চাচ্ছি। কিন্তু আমরা ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে তা অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) করতে পারবে।’
দুই দেশের বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেন ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, ‘ভারতে মাছ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।’
মৎস্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক এতটা ভঙ্গুর হওয়া উচিত যে ইলিশ রফতানি না হলে এর প্রভাব পড়বে। ভারত যদি পরিস্থিতির উন্নতি চায় তাহলে তিস্তা সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত।’
ভারতে দুর্গাপূজার সময় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। ইলিশ ছাড়া দুর্গাপূজা অসম্পূর্ণ। তবে এবার পূজায় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ না পাঠানোর কারণে কলকাতায় মাছটির দাম বাড়তে পারে। এছাড়া পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।