ওয়াল নিউজ ডেস্ক
মসজিদের দেয়াল, জেনারেটর চুরি ও ক্যাশবাক্স লুটপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ থেকে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮) বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলার আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক মামলাটি এফআইআর গণ্য করতে বিশ্বনাথ থানাকে নির্দেশ দেন। ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ উল্লেখ করে বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি (০৪/২৪ ও দ্রুত বিচার আদালতের মামলা ৫/২৪) রুজু করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলার উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র মোফস্তা মিয়া (৫০), মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র শফিক মিয়া (৪৮), শফিক মিয়ার পুত্র এমাদ আহমদ (২৭), মৃত সুলতান মিয়ার পুত্র নেছার মিয়া(৪৬), মৃত হানিফ আলীর ছেলে দেলোয়ার মিয়া (৪৫), নেছার মিয়ার পুত্র ফাহিম আহমদ (২০), মৃত ফয়জুর রহমান এর পুত্র শেখ ছাব্বির আহমদ (৩০), মুস্তফা মিয়ার পুত্র গোলাম কিবরিয়া (৩৫), দেলোয়ার মিয়ার পুত্র জামিল আহমদ উরফে নছিব উল্লাহ (২১) ও অজ্ঞাত ১৫/১৬ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উত্তর দৌলতপুর মদিনা জামে মসজিদে হামলা ও দেওয়াল ভাঙ্গা এবং মসজিদের ক্যাশবাক্স আসামীরা লুটপাট করে শান্তি শৃংখলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, আসামীগণ উত্তর দৌলতপুর মদিনা জামে মসজিদে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, মসজিদের দেওয়াল ভাঙচুর মসজিদের জেনারেটর, নগদ টাকা, ক্যাশবাক্স, মাইক সহ অন্যান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এলাকার মুসল্লিদের মসজিদের নামাজ পড়তে নিষেধ প্রদান করে।
মামলার নথিপত্র যাচাই বাছাই করে মো আব্দুল ওয়াহাব আদেশটি জারি করেন। বিশ্বনাথ থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্য রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।