• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে বন্যার আশঙ্কা

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
সিলেটে বন্যার আশঙ্কা

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের মতো ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকার উজানে ভারতীয় অংশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অনেকটা গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টির মতো। আজ শুক্রবার একই ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে বাংলাদেশের ভেতরে দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলজুড়ে। ফলে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, শুক্রবার (আজ) থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক পানির ঢল আসতে পারে। ফলে এই এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদী বন্যা।
এ বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বৃষ্টির কারণে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এসব এলাকায় কয়েক দিনের জন্য বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি চলতে পারে। কয়েকটি এলাকায় এক দিনে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ফেনী, মাতামুহুরি, হালদা, সাঙ্গু ও মুহুরি নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
অন্যদিকে সিলেট বিভাগ এবং এর উজানে ভারতীয় অংশেও আগামী দুই থেকে তিন দিন বৃষ্টি চলতে পারে। এতে সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ধলা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি দ্রুত বাড়বে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/ ২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৮৯ মিলিমিটার/ ২৪ ঘণ্টা) বৃষ্টি হতে পারে। ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধস হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে।
জানা গেছে, মৌসুমি বায়ু এখন উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূল এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, এখন ভাদ্র মাসের গরম পড়ছে। তাপমাত্রা এখন কিছতা কমতে পারে। তবে এখন ভ্যাপসা গরম থাকছে, কারণ বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেশি। তাই মানুষের ঘাম শুকাচ্ছে না। অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।
তিনি বলেন, শুক্রবার দেশের সব বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অন্য অঞ্চলে কিছতা কম হলেও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত একটু বেশি হবে। এসময় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এসময় সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সমান্য হ্রাস পেতে পারে।