মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা চাচ্ছি গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার করতে। প্রমাণ করেছি জাতীয় স্বার্থে আমরা এক ও অভিন্ন, সামনেও তা প্রমাণ করতে হবে। এর মধ্যে যারা দাঙ্গা সৃষ্টি করবে তারাই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
হাসিব আল ইসলাম আরও বলেন, এতদিন বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না, এইভাবে দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্র ও জনগণের জন্যে কাজ করবে। কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে নয়। আমাদের মধ্যে যে সম্প্রতি রয়েছে, অনেকেই চাইবে তা ভেঙে দিতে।
হাসিব বলেন, ‘আমাদের হাতে অস্ত্র ও গুলি ছিল না। আমাদের কাছে ছিল স্লোগান, আর বুক ভরা সাহস। তারা গুলি করেছে আমরা বুক পেতে দিয়েছি। এরমধ্যেই কিন্তু খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ছাত্রজনতা এক থাকলে দেশের যে কোনো সংকট মোকাবিলা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য শুধু ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন নয়। বরং এই ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে ব্যবস্থা চালু করে গেছে এর বিপুল নিশ্চিত করা।’
হাসিব আরও বলেন, এই বিপ্লবের পরে তারা বলে উঠেছে বাংলাদেশে না কি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়। কিন্তু আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি এই দেশ একটি সম্প্রতির বাংলাদেশ। এই দেশের সনাতনী ভাইবোনেরা তাদের পূজা উৎসবের টাকা বন্যার্তদের জন্য আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মধ্যেমে পাঠিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে গণত্রাণ কর্মসূচিতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বসে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে, জনতা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। যখন তারা বাঁধ খুলে দিয়েছে তখন তারা কী হিন্দু-মুসলিম দেখেছে? যখন বর্ডারে তারা গুলি করে তখন তারা কী ধর্মীয় পরিচয় দেখে। স্বর্ণা দাসকে যে গুলি করেছে, তখন কী পরিচয় দেখেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিবের সভাপতিত্ব বক্তব্য রাখেন আশরাফুল আলম আলী, মোছাম্মৎ ছারা প্রমুখ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, শাবিপ্রবির সমন্বয়ক লিপটন আলী, আদনান খান ঢাবি, হাফিজুল ইসলাম, সহ-সমন্বয়ক আমিরুল ইসলাম জীবন, আলী আব্বাস শাহীন, দেলোয়ার হোসাইন, জান্নাত তাবাসসুম, মোহাম্মদ শাকিল। ঢাবির প্রতিনিধি মোফাজ্জল হোসেন, আসিফ হোসেন, আফরাজ আল মাহমুদ, হেলাল নবীসহ মৌলভীবাজারের নেতারা।