• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

দোয়ারাবাজারে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা এবং হবিগঞ্জে প্রবাসীকে হত্যা

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী এবং হবিগঞ্জের মাধবপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রবাসীফেরত যুবক খুন হয়েছেন।
আমাদের দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি জানান, দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের চিলাইপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া আক্তার (১৯) উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাইরগাঁও গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী।
নিহত সুমাইয়া আক্তারের স্বামী জাকির হোসেন উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পূর্ব চাইরগাঁও গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে। সুমাইয়া আক্তার (১৯) দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় দুই সপ্তাহ আগে নিজেই স্বামীকে ডিভোর্স দেন। এরই জেরে চিলাইপাড় গ্রামে গিয়ে সুমাইয়াকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন তার স্বামী জাকির হোসেন। এতে ব্যর্থ হয়ে সোমবার রাতে ছুরিকাঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যান ঘাতক জাকির হোসেন। গুরুতর আহত সুমাইয়া আক্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারাবাজার সার্কেল) রনজয় চন্দ্র মল্লিক, দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল হাসান, ওসি (তদন্ত) শামছ উদ্দিন প্রমুখ।
এদিকে আমাদের মাধবপুর প্রতিনিধি জানান, মাধবপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে কাতার প্রবাসী ফারুক মিয়া (৪৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই সঙ্গে তার ভাতিজা রবি মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দলগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক মিয়া মাধবপুর উপজেলা বহরা ইউনিয়নের দলগাঁও গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। গুরুতর আহত রবি মিয়া ওই গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহত ফারুকের খালাতো ভাই আনোয়ার আলী জানান, ফারুক মিয়া ও একই গ্রামের হামিদ মিয়াদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ফারুক মিয়া জমিতে লাগানো গাছ কাটতে গেলে হামিদ মিয়া ও তার পক্ষের লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিষয়টি মীমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে সোমবার মাগরিব নামাজের পরে একটি সালিশ বৈঠকে বসেন। সালিশের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন ফারুক মিয়া ও তার খালাতো ভাইয়ের ছেলে রবি মিয়াকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা ফারুক মিয়া ও রবি মিয়াকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এসময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. তারেক-উজ জামান ফারুক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় রবি মিয়াকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রেরণ করেন।
নিহত ফারুক মিয়া কাতার প্রবাসী। তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে কাতার থেকে ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন।
এব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।