• ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার

The Wall News.Com
প্রকাশিত আগস্ট ১৬, ২০২৫
সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


নজিরবিহীন লুটপাটে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর বিারণ ভূমিতে পরিণ হওয়ার পর এ এলাকার লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে প্রশাসন। গত দুইদিনে প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার হয়েছে।

উদ্ধারকৃত পাথরের অর্ধেক ইতিমধ্যে সাদা পাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সাদা পাথর থেকে লুট হওয়া আরও ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে প্রশাসন। শুক্রবার দিনভর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর জব্দ করা হয়।

এদিকে সিলেটের আরেক পর্যটন কেন্দ্র জাফলং থেকে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারেও অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুদিনে জাফলং থেকে লুট হওয়া ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (গোপনীয় শাখা, মিডিয়া সেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত মোট সাদাপাথরের প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাথর পর্যায়ক্রমে সাদা পাথরে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, পাথর ব্যবসায়ীরা অভিনব কৌশলে এসব লুট হওয়া পাথর লুকিয়ে রাখছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন কোম্পানীগঞ্জের কলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাটিচাপা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার হয়। এর মধ্যে সাত ট্রাক পাথর ইতিমধ্যে সাদা পাথর এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও আনুমানিক পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছে, যা শনিবার ফেরত পাঠানো হবে।

কলাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (রাজস্ব শাখা, জেলা ব্র্যান্ডিং ও পর্যটন সেল) মাহমুদ আশিক কবির বলেন, কলাবাড়ি এলাকায় ক্রাশার মালিকরা মাটির নিচে পাথর মজুত করেছিলেন। সেখান থেকে সাত ট্রাক পাথর ফেরত দেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় পাঁচ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে রাখা হয়েছে, যা শনিবার সাদা পাথরে ফেরত দেওয়া হবে।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দুই দিনের অভিযানে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন স্থান থেকে ৮ হাজার ৫ শত ঘনফুট লুট করা পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা পাথর পূণরায় নদীতে প্রতিস্থাপনের লক্ষে জাফলং  জিরো পয়েন্টে নৌকা দিয়ে ফেলা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে ৯টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগ্রাম বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার শহিদুল ইসলাম জাফলং বিট পুলিশের এএসআই মোবারক হোসাইনসহ পুলিশ ও বিজিবি’র সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নেন।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী জানান, জাফলংয়ের জিরোপয়েন্ট থেকে কিছু দুষ্কৃতকারী রাতের আধারে বৃষ্টির মধ্যে কিছু পাথর সরিয়ে ফেলছিল। আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত পদক্ষেপ নেই। এরপর থেকে ২৪ ঘন্টা পুলিশ-বিজিবি’র টহল অব্যাহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সেখান থেকে যে পাথরগুলো সরানো হয়েছে আমরা সেই পাথরগুলো খোঁজে বের করে সাড়ে ৮ হাজার ৫শ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছি। কিন্তু পাথর লুটপাটের সাথে জড়িত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এই অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।