ওয়াল নিউজ ডেস্ক
বরিশালে যুবলীগ নেতার নির্দেশে করা হয়েছিলো জোড়া খুন। সেই খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি সিলেটে ছিলেন আত্মগোপনে। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে র্যাব-৮ ও র্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে সিলেট মহানগরের একটি এলাকা থেকে মো. কিবরিয়া হাওলাদার (৫০) নামের এই ‘খুনিকে’ গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার আলামদী গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া সেল জানায়, গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে উজিরপুর থানার পশ্চিম সাতলা এলাকার ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারের মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পথিমধ্যে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিমপাড়ের ঢালে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে ইদ্রিসকে কুপিয়ে পেট ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় সাগর দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে হামলাকারীরা। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত ২টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হালদার মারা যান। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সাগরও মারা যান।
পরে নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় ইদ্রিসের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন- সাতলা ইউনিয়ন চেযারম্যান শাহিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এই দুই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
মামলা দায়েরের পর পুুলিশের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই জোড়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে র্যাবও তদন্ত শুরু করে। একপর্যায়ে তারা জানতে পারে- মামলার প্রধান অভিযুক্ত সিলেট মহানগরে আত্মগোপনে আছেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৮ ও র্যাব-৯ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব-৯। এছাড়া এ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব।