ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নির্ধারণে লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার মেয়ে সামিরা তানজিনের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহদীন চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রেদওয়ান আহমেদ রানজীব ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। আইনজীবী মাহদীন বলেন, মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে ঢাকা শহরেই ছিলেন হারিছ চৌধুরী।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যান। তৎকালীন সরকারের চাপে তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে কবর দিতে বাধ্য করা হয়। সে সময় তাঁর প্রকৃত পরিচয় অনুযায়ী কোনো মৃত্যুসনদ দেওয়া হয়নি।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে বলেন, সদ্য বিদায়ী স্বৈরাচারী সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ একটা নাটক রচনা করে বাবার মৃত্যুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এটা নিয়ে যেন কখনো প্রশ্ন না ওঠে সেটা ডিটারমিন করার জন্য রিট করেছি। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ থাকবে, সন্তান হিসেবে এটা খুব মর্মান্তিক, কষ্টদায়ক। এখনো মানুষ জিজ্ঞেস করে বাবা কি সত্যিই মারা গেছেন? আমাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
২০২২ সালের ৬ মার্চ দৈনিক মানবজমিনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হারিছ চৌধুরী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার আগে ১১ বছর মাহমুদুর নামে ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন তিনি। আর মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে হারিছকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদের কমলাপুর এলাকায় একটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয় বলেও দাবি করা হয়।