ওয়াল নিউজ ডেস্ক
বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মৃত ফেরদৌস আলী নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত ফেরদৌস আলী মজনপুর গ্রামের মৃত মুহিব উল্লাহর ছেলে।
আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়। মারা যাওয়ার প্রায় ১০ মাস পর কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। মামলার তদন্তের স্বার্থে বুধবার দুপুরে লাশ উত্তোলন করা হয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রিটের উপস্থিতিতে। এসময় মামলার বাদি নিহত ফেরদৌস আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম, দুই ছেলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের নির্দেশে বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রিট আলা উদ্দিন কাদেরের নেতৃত্বে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করে ফরেনসিক তদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে- মৃত ফেরদৌস আলী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজির বাজারে নাইটগার্ডের চাকরি করা অবস্থায় গত বছরের নভেম্বরের ১৭ তারিখ ভোর ৫টার দিকে মারা যান। এরপর নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম তার স্বামীকে বিষ প্রয়োগ করে পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে উল্লেখ করে ৪ জনকে অভিযুক্ত ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত রেখে প্রায় একমাস পরে ২৬ ডিসেম্বর সিলেট মেট্রোপলিটন দক্ষিণ সুরমা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। তদন্তের জন্য আজ তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
লাশ উত্তোলন করে হাসপাতালে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পিবিআইএর এসআই সঞ্জয় লাল দেব।