
ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ পক্ষের এক ব্যক্তির বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পালানোর সময় এক ব্যক্তি আটক হয়েছেন। রাজিব মিয়া নামের এই যুবককে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
রবিবার তাকে একটি হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি হিসেবে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেলজাতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না তাজপুর গ্রামের মসজিদে নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের সুজাত মিয়া ও আব্দুল কাছের লোকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে গত মঙ্গলবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলে সুজাত মিয়া (৭০) নিহত হন। আহত হন উভয় পক্ষের ৪০ জন। এ ঘটনার ৫ দিন পর শনিবার নিহতের ছেলে। সুজাত মিয়ার ছেলে সেকুল মিয়া বাদী হয়ে ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলা আরও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এদিকে নিহত সুজাত মিয়ার প্রতিপক্ষ পক্ষের লোক আব্দুল লতিবের ছেলে রাজিব মিয়া শনিবার দুপুরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার এক আত্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। নিহতের ছেলে জুনেদ মিয়া জগন্নাথপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজিবকে আটক পরে সে স্বীকার করেছে। সে আব্দুল কাছ ও তার লোকজনের কথা মতো হাফিজুরের বাড়িতে এ আগুন লাগানো হয়। হাফিজুর আব্দুল কাছের ভাতিজা। এবং রাজিবের সর্ম্পকে আত্মীয়। আমাদের কাছে রাজিবের স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও আছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘটনার পর থেকে জড়িতরা পলাতক রয়েছে। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।