• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ডিএনএ রিপোর্ট আদালতে : মাহমুদুর রহমানের লাশটিই হারিছ চৌধুরীর

The Wall News.Com
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০২৪
ডিএনএ রিপোর্ট আদালতে : মাহমুদুর রহমানের লাশটিই হারিছ চৌধুরীর

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


রাজধানী ঢাকার সাভারে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটিই হারিছ চৌধুরীর। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদালতে সেই ডিএনএ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের আদেশে প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে ডিএনএ নমুনা জমা দেন। গত ১৬ অক্টোবর সাভারের জালালাবাদ এলাকার জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসা কবরস্থান থেকে মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা লাশটি তোলা হয়।
সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার কামারুন মুনিরার বলেন, ‘বিষয়টি আদালতের। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কোনো মন্তব্য করার সুযাগ নেই।’ তবে সিআইডি সূত্র জানায়, নমুনা পরীক্ষা করে দুই সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট সাভার থানার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টে লাশটি হারিছ চৌধুরীর বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
হারিস চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব। ওয়ান-ইলেভেনে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আর কোনও হদিস মিলেনি তাঁর। তিন বছর আগে করোনায় সংক্রমিত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএনপির দাপুটে এই নেতা মারা যান। সেসময় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার মৃত্যুও বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে জোরপূর্বক সাভারের একটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে কবর দিতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ করেন তাঁর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী। তাঁর বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দর্পণনগর গ্রামে।
হারিছ চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হারিছ চৌধুরী ৬৮ বছর বয়সে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। তারপর ঢাকার সাভারে একটি মাদরাসায় মাহমুদুর রহমান নামে তাঁকে দাফন করা হয়। এরপরই হঠাৎ করে আলোচনায় আসে হারিছ চৌধুরীর নাম।
ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বাবার পরিচয় শনাক্তে মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে ১৬ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর লাশ উত্তোলন করে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা হয়। এ ছাড়া দুদকের দুর্নীতি মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাঁর যথাক্রমে তিন ও সাত বছরের জেল হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ২০১৮ সালে ইন্টারপোলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড রনাটিস ইস্যু করা হয়।