ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আপনি নির্বাচনের কথা বলেন কিন্তু নির্বাচনের ডেডলাইন দিচ্ছেন না কেন? অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার কী স্কুলের হেডমাস্টার যে সংস্কার করতে হলে প্রথমে পড়াতে হবে, পরে সিলেবাস করবেন, তারপর পরীক্ষা নেবেন। তাদের একজন উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন নির্বাচন করলে হবে, আমি ওনার উদ্দেশে বলতে চাচ্ছি, আপনি কী প্রধান শিক্ষক? আমরা কী সংস্কার বুঝি না, আপনারা একটা প্রস্তাব দিতে পারেন, তা দিতে আপনাদের কত সময় লাগে। দ্রুত নির্বাচন এখনও সবার দাবি। তাহলে কী আমরা ধরে নেবো ৫ আগস্টের বিপ্লবের সঙ্গে আপনারা তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না, বিপ্লবের চেতনা ধারণ করতে পারছেন না। আপনার এখনও অনেক স্বৈরাচারকে বিভিন্ন স্থানে বসিয়ে রেখেছেন।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা জেগে উঠেছিল বলে এতো নির্মম, নিষ্ঠুর স্বৈরাচার হাসিনাকে পরাজিত করা সম্ভব হয়েছে। একটি দানবকে জনগণ বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। শেখ হাসিনা যাওয়ার সময় দেশ থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে গেছে। যারা বলেছিল, বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেবে, সেই আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের টাকা লুট করার সুযোগ করে দিয়েছে। শ্রমিকের ঘামের, বিদ্যুতের, মেট্রোরেলের, বড় বড় মেঘা প্রজেক্ট ও শেয়ার বাজারের টাকা পাচার করেছে হাসিনা। আর এসব সিন্ডিকেটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে।’
মঙ্গলবার বিকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপি অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের উদ্বোধন করেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়ে আপনারা সরকার হয়েছেন, বিএনপি আপনাদের সমর্থন দিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা দিয়েছে। বিএনপি এখনও আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। আপনি বলেছেন, শুল্ক কমিয়ে দেবেন, শুনেছি দিয়েছেনও তাহলে আলুর দাম কমছে না কেন? আলুর কেজি কেন ৭৫ টাকা? আপনি কেন আলু, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আটা ও চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। শুধু শুল্ক কমালে হবে না, সিন্ডিকেটগুলোও ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আপনাদের সমস্যা কোথায়? এখানে আপনার দুর্বলতা কোথায়, এর রহস্য কী? অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের কাছে মানুষ এসব আশা করে না।’
তিনি বলেন, ‘নতুন উপদেষ্টা দিতেও কারও সঙ্গে পরামর্শ নেননি। যে মেয়েটি শেখ মুজিবের স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছে- বিতর্কিত মুজিবের ছবিতে অভিনয় করা মেয়েটির স্বামীকে আপনারা উপদেষ্টা করেছেন। বলছেন, মেয়েটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। আমিও ৪ আগস্ট পর্যন্ত কারাগারে রিমান্ডে ছিলাম। শামীমা বরকত লাকী আপার ছেলে নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এখনও সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।’