ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সিলেট নগরীতে মুহিবুর রহমান নামের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার ওই ছাত্রীর মা সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এরপর পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্ত মুহিবুর রহমান পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, মুহিবুর রহমান একটি কোচিং সেন্টারে নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান। গত বুধবার ওই ছাত্রী শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যান। এ সময় শিক্ষক মুহিবুর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মুহিবুরকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মুহিবুর তাঁর মেয়েকে একটি মোবাইল নাম্বার দেন এবং বাসায় পৌঁছে ফোন দিতে বলেন। তখন তার মেয়ে রাত সাড়ে ৮টায় ভাইয়ের ফোন নাম্বার থেকে মুহিবুর রহমানকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিলে অশালীন কথাবার্তা বলে পরদিন কোচিংয়ে যেতে বলেন। কথামতো পরদিন বুধবার সকালে কোচিংয়ে গেলে মুহিবুর তাকে খোলা ছাদের উপর ডেকে নেন। এরপর ছাদের উপর থেকে নিচতলায় তার বাসায় নিয়ে যান। বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক সোফায় বসতে বলেন। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি করে ব্যর্থ হয়ে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন। তখন মেয়েটি কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। পরবর্তীতে বাসায় এসে মাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে মেয়েটিকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করেন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জিয়াউল হক মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মুহিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।