• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বালাগঞ্জের ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

The Wall News.Com
প্রকাশিত নভেম্বর ৪, ২০২৪
বালাগঞ্জের ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


সিলেট জেলার বালাগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ফখরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন ও একজনের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ৫ জন।
রবিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ দণ্ডাদেশ দেন।
রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেন বিচারক। তাছাড়া এক বছরের দণ্ডপ্রাপ্তকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর পর রবিবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জ উপজেলার জামালপুর গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে মাহমদ আলী ওরফে কাছা (৪৫), একই এলাকার মৃত তৌফিক মিয়ার ছেলে ছাবের আহমদ (২৪), তার সহোদর জুবের আহমদ (২৬), মৃত রফিক মিয়ার ছেলে আফিক মিয়া (৩০), আখলিছের ছেলে সুহেল ও মৃত লালা মিয়ার ছেলে শামীম চৌধুরী (৩৫)। এছাড়া এক বছরের দণ্ড পেয়েছেন একই গ্রামের মৃত গণির ছেলে ইন্তাজ (৪০)।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাহমদ আলী ওরফে কাছা আদালতের কাঠগড়ায় হাজির থাকলেও অপর ৬ আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- বালাগঞ্জের জামালপুর গ্রামের মনির আলীর ছেলে শাহিদ আলী, মৃত রফিক মিয়ার ছেলে মাফিক (২৬), একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে কাইয়ুম (২২), সালেহ আহমদের স্ত্রী আমারজান বিবি (২২) ও মৃত রইছ আলীর ছেলে তজম্মুল আলী (৪০)। মামলা চলাকালে একই এলাকার মৃত জোয়াদ উল্লার ছেলে আখলিছ (৪৫) ও সিরাজ আলীর ছেলে মনির আলী (৩৫) মারা যান।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১২ মে দুপুরে জামালপুর গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম (৩৫) জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। মসজিদে যাওয়ার পথে আসামিরা শক্রতা ও মামলা-মোকদ্দমার জেরে পরিকল্পিতভাবে ফখরুলের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ফখরুল ইসলাম আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে খাইশাপাড়া মাদ্রাসার সামনে পৌঁছালে তাকে ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আসামিরা কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ফখরুল ইসলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। তার চিৎকারে সহোদর আব্দুল নুর ও বোন দিলারা বেগম এগিয়ে গেলে আসামিরা ব্যাপক মারধর করে তাদেরকেও গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফখরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাতুল বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৮ জুলাই ১৪ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০০৮ সালে ১ জুলাই আদালত মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রবিবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট গোলাম এহিয়া চৌধুরী সুহেল।