• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

লজ্জাজনক পরাজয় বাংলাদেশের

The Wall News.Com
প্রকাশিত নভেম্বর ১, ২০২৪
লজ্জাজনক পরাজয় বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক


চট্টগ্রাম টেস্টে যেভাবে উইকেটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা তাতে হার নিশ্চিতই ছিল। দেখার বিষয় ছিল, ব্যবধানটা কতটুকু কমাতে পারবেন মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে।
ধবলধোলাই হওয়ার ম্যাচে এতটাই বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ফলো-অন এড়াতে পারেনি। ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩৭৬ রান। বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলে করেছে মোট ৩০২ রান। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দেড় শ রান পার করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেটিও করতে পারেনি। ১৫৯ রানের বিপরীতে টেস্টের তৃতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট ১৪৩ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৮ জন ব্যাটারের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে অল্পতে অলআউট করতে শুরুটা করেছেন সেনুরান মুতুসামি।
৪ উইকেট নিয়ে বাঁহাতি স্পিনার শুরুটা করলেও শেষটা করেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। ৫৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ১০ নম্বর ব্যাটার হাসান মাহমুদ। ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয় টেস্টে।
আগের সর্বোচ্চেও বাংলাদেশের নাম। প্রতিপক্ষের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে ২০১৭ সালে ইনিংস ও ২৫৪ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারটাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় পরাজয়। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ইনিংস ও ৩১০ রানের সর্বোচ্চ হারটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এ জয়ে একটা অপেক্ষা ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৪ সালের পর এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজ হিসেবে ৫ সিরিজ পর। ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা টনি ডি জর্জির ম্যাচসেরার বিপরীতে সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।