ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সিলেটের বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের ফাজিলপুরে কুশিয়ারা নদীর তীর ধসেপড়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ কুশিয়ারা ডাইক ও একটি কালভার্ড। বুধবার ফাজিলপুর নদী তীরের বড় একটি অংশ ধসে পড়লে বাঁধের উপর নির্মিত একটি কালভার্ডের পাশের মাটিও ধসে যায়। এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
বালাগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ওসমানীগরের শেরপুর পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের উপর এলজিইডি তৈরি করেছে পাকা সড়ক। এ সড়ক দিয়ে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যানবাহনে চলাচল করে থাকেন। নদীর বালাগঞ্জ অংশের ফাজিলপুর এলাাকয় দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় অনেক জায়গায় নদীর তীর বাঁধের কাছে চলে এসেছে। ভাঙন অব্যাহত সড়কটিও নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সড়কটি ভেঙে গেলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়বে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। এর আগে ফাজিলপুর এলাকায় বড় ধরণের নদী ভাঙন দেখা দেওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপন করে দেয়। এলাকাবাসীর দাবি- সেই কাজ তেমন ভালো হয়নি এবং যতটি জিও ব্যাগ দেয়ার কথা ছিল ততটি দেয়া হয়নি। বর্তমানে নেয়া ২৫ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ যেন যথাযথভাবে হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তারাও অনুরোধও জানান।
এদিকে, নদী ভাঙনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাটি ধসে পড়া স্থান পরিদর্শন করেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ। ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এলাকাবাসীকে। এসময় তার সাথে ছিলেন উপসহকারি প্রকৌশলী গোলাম বারি।
ফাজিলপুর গ্রামের আল আমিন বলেন, ফাজিলপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আসছে এলাকাসী। বুধবার যে স্থানটি ভেঙেছে গত বছরও সেখানে এক ব্যক্তির বসতঘর ছিল। নদী ভেঙে সড়কের কাছে চলে আসায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। যদি সড়কটি ভেঙে যায় তবে আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বো।
মিনাজ মিয়া বলেন, যে স্থানটি ভেঙেছে সেখানে আমার চাচার ঘর ছিল। ভাঙনের কবলে পড়ে চলতি বছরে ঘরবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরে যেতে হয়েছে। বর্তমানে যে ভাঙন দেখা দিয়েছে তাতে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভাঙনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং তা রোধে তাৎক্ষণিক ২৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুতত জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। নদীর ভাঙনরোধে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ১১০ কিলোমিটার চর কাটার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।