ওয়াল নিউজ ডেস্ক
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা, ইতিহাসকে বদলে ফেলার অপচেষ্টা করা এবং নিসচা প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে অসম্মান ও তাঁর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে নিরাপদ সড়ক চাই নিসচা সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন নিসচার নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নিসচা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নিসচা সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মিশু, সিলেট মহানগরের সভাপতি রোটা. এম ইকবাল হোসেন, নিসচা জেলার সদস্য সচিব ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী পাবেল, নিসচা জেলা শাখার সদস্য আব্দুর রহমান, তাওহীদুল ইসলাম, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম নাহেদ, আব্দুস সোবহান, মো. মাজিদুর রহমান মাছুম, শাহীন আহমদ, সিলেট মহানগর সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. লোকমান হেকিম, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবীব প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪ এর সরকারি অনুষ্ঠানে দিবসটির প্রস্তুতি সভায় সেখানে নিরাপদ সড়ক চাই-এর ভূমিকাকে গৌণ করে রেখেছিল। প্রস্তুতি সভাগুলোতে না পারার মতো আমন্ত্রণ এবং উপস্থিতি সদস্য সংখ্যার তালিকা ছোট করে নামকাওয়াস্তে আমন্ত্রণ জানিয়ে তারা ক্ষ্যান্ত থাকেননি গত সাত বছরের রীতি রেওয়াজ যেগুলো সাধারণত অতীত কর্মকান্ড পরিচালনায় কনভেনশন আকারে চিহ্নিত হয়ে থাকে সেটারও ব্যত্যয় ঘটানো হয়। বিশেষ করে বিশেষ দিনগুলোতে সেরকম কারো অবদানে প্রেক্ষাপট রচিত হলে তাঁকে নানা আয়োজনে সম্মান জানানো হয়, অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। যেহেতু ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ইলিয়াস কাঞ্চন এবং নিরাপদ সড়ক চাই-এর দাবি ও নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াসে এসেছিলো সে কারণে বিগত দিনে যে সরকারই ক্ষমতায় ছিলো এই দিবসে ইলিয়াস কাঞ্চনকে একটা সম্মান জানানো হতো। ইলিয়াস কাঞ্চন সেদিন রোড সেফটির উপরে এবং সড়ক নিরাপত্তায় বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরতেন। কিন্তু ব্যাতিক্রম ঘটে এইবারের সরকারি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চনকে অনুষ্ঠানের সম্মুখ সারিতে বসিয়ে রাখা ছাড়া আর কোনো সম্মান দেয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে নিসচাকে খাটো করে কতিপয় শিক্ষার্থীদের সম্মুখসারিতে তুলে এনে সেখানে তারা নিয়ে আসে ২০১৮ সালের ছাত্র আন্দোলনের কথা। আমরা মনে করছি এই শিক্ষার্থীদেরকে সরকারের ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদ সরকারের দোসর ও পরিবহন সেক্টরকে যারা লুটেপুটে খেতে চায় তাদের একট পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। তাদের চাপের মুখে ইলিয়াস কাঞ্চনকে সেখানে কোনো বক্তব্য প্রদানের সুযোগ পর্যন্ত দেয়া হয়নি।