সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর মেজরটিলাবাসী শান্তিতে বসবাস করতে পারেননি। এলাকার সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়ায় মানুষ ছিলো আতংকিত। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা শান্তিতে বাসা-বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে রাস্তায় নেতাকর্মীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দেশে পরপর তিনটি নির্বাচনে দেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করার সুযোগ পায়নি। বিগত স্বৈরাচারী সরকার দেশের মানুষের উপর এত বেশি নির্যাতন করেছে যে- মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তাই গৃহবধু, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ তাদের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে রাস্তায় নেমে আসে।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজারের উপর তরুণ-তরুণী প্রাণ দিয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে দৃষ্টি শক্তিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এতসব আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিজয় কোনো লুটেরা ও দুর্বৃত্তায়নের কাছে ম্লান হতে দিবো না।

তিনি রবিবার (২০ অক্টোবর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে সিলেট নগরীর মেজরটিলা পয়েন্টে ৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, ‘কেউ যদি এই সুযোগে চোরাচালান, জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, সম্প্রীতি বিনষ্টসহ প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান এই সব বিষয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় কোন শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী বা অপকর্মের সাথে জড়িত ব্যক্তির তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রয়োজনে অপকর্মের সাথে জড়িতদের আমরা আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেবো।’

তিনি আরোও বলেন, ‘আমরা সিলেটের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুদ করতে চাই। সিলেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। প্রবাসীদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে চাই। আমরা সিলেটের পর্যটন শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানার বিকাশ করতে চাই। আমরা সিলেটসহ সমগ্র দেশকে সাম্য, সমতা, ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে গঠনে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

৩৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেলিম আহমদ সেলুর সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল ওয়াহিদু সুহেল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কবির আহমদ এবং মাহিন আহমদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ডালিম, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু প্রমুখ।