নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নিয়োগকে প্রত্যাখ্যান করে নবাগত পিপির কার্যালয়ে তালাবন্ধ করে দিয়েছে আইনজীবিরা। রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নবনিযুক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট এটিএম ফয়েজ উদ্দিন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিবের পিপি কক্ষ তালাবন্ধ করে আইনজীবিরা।
পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন আইনজীবিরা। একপর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ২য় তলায় এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিবকে দেখে আইনজীবিরা ক্ষেপে যান এবং থাকে লাঞ্চিত করেন। আইনজীবির সমিতির সাধারণ সম্পাদকের হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন মুজিব।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সাবেক জিপি সিনিয়র এডভোকেট আক্তার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আশরাফুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট হাবিুবুর রহমান হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাসান আহমদ পাটওয়ারী রিপন প্রমুখ।
এসময় আইনজীবিরা বলেন, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এডভোকেট এ টি এম ফয়েজ একজন বহুরুপি ও বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি আওয়ামীলিগ এর রাজনীতি থেকে বিএনপিতে আসলেও বিগত খুনি ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দীর্ঘ আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। দলে তার সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা, অনুপস্থিতি ও দলীয় নেতাকর্মীদের আইনী সেবা প্রদানে তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে একসময় আইনজীবি ফোরামের সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি দীর্ঘ দুই বৎসর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রান্ট হয়ে স্বপরিবারে স্থায়ী ভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমান। গত ৫ আগষ্টের খুনি হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে তিনি পিপি হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন এবং সংশ্লিষ্টদেরকে ভুল বুঝিয়ে গুরুত্বপূর্ন পদটি বাগিয়ে নেন। যা সিলেটের আইন অঙ্গনের সর্বস্তরের আইনজীবিদের মর্মাহত করেছে।’
নেতৃবৃন্দ সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পদে নিয়োগপ্রাপ্ত এটি এম ফয়েজকে পরিবর্তনের জোর দাবি জানান।