ওয়াল নিউজ ডেস্ক
গ্রেফতার আর শাস্তি এড়াতে আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন মন্ত্রী এমপি আর হাইব্রিড নেতা বিএনপিতে যোগ দেয়ার পথ খুজছেন বলে জানা গেছে। এরই মাঝে যেসব আওয়ামী লীগ নেতার সাথে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সুসম্পর্ক ছিলো তারা গোপনে যোগাযোগও করছেন বলে দবি করেছে বিএনপির একটি সূত্র। ভোল বদলের জোয়ারে এবার কোন কোন আওয়ামী লীগ নেতা যোগ দিতে পারেন, সেটা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।
জানা গেছে গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজন আওয়ামী সুবিধাভোগি নেতা এখন বিএনপিতে যোগ দিয়ে শাস্তি এড়ানোর জন্য তদবির শুরু করেছেন। শুধু বিএনপি না, জামায়াতে যোগ দেওয়ার সুযোগও খুঁজছেন বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা।
বিএনপির একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে আওয়ামী লীগের সংস্কারপন্থী অনেক নেতাই সরাসরি যোগাযোগ না করলেও ভায়া মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন। এছাড়া শাস্তি এড়ানোর জন্য দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে বিএনপিতে যোগ দিতেও প্রস্তুত তারা। এমন প্রায় দেড় ডজন আওয়ামী লীগ নেতার নাম নিয়ে আলোচনা চলছে বিএনপির আনাচে কানাচে। তবে এখন পর্যন্ত বিএনপি থেকে ঐ সব মাধ্যম কোন রকম সহনুভুতি আদায় করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
যাদের নাম এই তালিকায় চলে এসেছে তাদের নাম শুনলে চোখ কপালে উঠতে পারে। যেমন সালমান এফ রহমান। হাসিনা সরকারের দাপুটে এই উপদেষ্টা ও ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভোল বদল করে বিএনপিতে নাম লেখাতে, এমন খবরই এখন বিএনপি শিবিরে প্রতিদিনই আলোচনা হচ্ছে। বিএনপি নেতা এম মোর্শেদ খান সম্পর্কে সালমান এফ রহমানের বেয়াই। সায়ান এফ রহমান বিয়ে করেছেন মোর্শেদ খানের মেয়েকে। ধারণা করা হচ্ছে দেন দরবার পারিবারিকভাবেই চলছে।
তালিকায় আরও রয়েছে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ড. তৌফিকই এলাহি, আওয়ামীলীগ নেতা সুবিদ আলী ভূইয়া, গওহর রিজভী, ওয়ার্কারস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নামও। তবে সবাই যে দল বদল করতে চাচ্ছেন এমন নয়। এদের বেশিরভাগই শাস্তি মওকুপের রাস্তা খুঁজছেন, সুযোগ চাচ্ছেন বিদেশে স্থায়ী হওয়ার।
যেসব আওয়ামী লীগ নেতা এই ভোল বদলের চেষ্টায় এরই মাঝে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছেন তাদের বেশির ভাগের সাথেই বিএনপির বড় বড় নেতাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। অনেক আওয়ামী লীগ নেতার সাথে আবার ব্যবসায়িক সম্পর্কও চলমান আছে বিএনপির বাঘা বাঘা নেতাদের। সেই সম্পর্কের বাহানাতেই শাস্তি মওকুপের পথ খুজছেন তারা। তবে বিএনপি থেকে এখনও কেউ কোন সাড়া দেয়নি বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। কেউ কেউ বলছেন যেসব আওয়ামী লীগ নেতার সাথে বিএনপির আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তারা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। কেননা, ছাত্র জনতার অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে কাউকেই কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন তারা।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করলেও এই সরকারের কাছে বিএনপির মতামতই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। কেননা, গত ১৬ বছর এই দলটি নীপিড়নের স্বীকার হয়েছে। যে কারণে আত্মীয়তা আর ব্যবসায়ীক সূত্রে যেসব আওয়ামী নেতাদের সাথে বিএনপির সম্পর্ক রয়েছে তারা এখনও আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন কোন না কোন উপায়ে ছাড় পাবার জন্য। যদিও যে কোন পর্যায়ের আওয়ামী সুবিধাভোগিদের বিষয়ে বিএনপি নেতারা এখনও কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ভোল বদলের হাওয়ায় কে কে গা ভাসিয়ে দেয়।