ওয়াল নিউজ ডেস্ক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) গত তিন দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন বিওপি সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।
বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় জৈন্তাপুর বিওপির একটি বিশেষ টহল দল জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইনের নিকটবর্তী বাউর বাগ নামক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ১২টি ভারতীয় মহিষ আটক করেছে। আটককৃত মহিষের বাজারমূল্য ২০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
এর আগে শনিবার রাত ২টায় লোভাছড়া বিওপির একটি টহল দল কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইনের নিকটবর্তী হাপারমুখ নামক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ৭৫০ কেজি ভারতীয় চিনি আটক করেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া শুক্রবার জৈন্তাপুর এবং লালাখাল বিওপির পৃথক টহল দল জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইনের নিকটবর্তী ত্রিপ্রাখোলা ও গরুর হাট নামক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৭টি ভারতীয় গরু আটক করে। আটককৃত ভারতীয় গরুর আনুমানিক বাজারমূল্য ৮ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
একই দিনে দুপুর দেড়টায় সুরাইঘাট বিওপির অপর একটি টহল দল কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইনের নিকটবর্তী মালীগ্রাম নামক স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৪০ পিস ভারতীয় যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট আটক করে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৬০০ টাকা।
এছাড়া শুক্রবার ও শনিবার জৈন্তাপুর এবং বিয়াবাইল বিওপির পৃথক আভিযানিক টহল দল সিলেট জেলার জৈন্তাপুর এবং জকিগঞ্জ উপজেলার সীমান্তের শূন্য লাইন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ১৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি এবং ১টি ট্রলি গাড়ি আটক করে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা টাকা।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মালামালের সর্বমোট বাজারমূল্য ৫১ লক্ষ ২০ হাজার ১০০ টাকা। আটককৃত মালামাল নিকটস্থ শুল্ক গুদামে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (১৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার মো. আসাদুন্নবী পিএসসি বলেন, বিজিবি কর্তৃক সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ চোরাচালানবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উপরোক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।