• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বাহুবলে দুই পরগনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

The Wall News.Com
প্রকাশিত আগস্ট ২৮, ২০২৪
বাহুবলে দুই পরগনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

আহত পাঁচ শতাধিক

ওয়াল নিউজ ডেস্ক:

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে দুই পরগনার লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। ১০ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে মিরপুরবাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় সাংবাদিকসহ ৫ শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। এ সময় বশির প্লাজার সামনে থাকা একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয়া হয়।
আহতদেরকে বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার মিরপুর বাজারে টাকা পাওনাকে কেন্দ্র করে একই উপজেলার লামাতাসি গ্রামের ট্রেইলার আলফু মিয়ার সাথে বানিয়াগাঁও গ্রামের আকল আলীর ছেলে আল আমিনের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সমাধান করার জন্য বানিয়াগাঁও গ্রামের আ. শহিদ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম মিয়া চেষ্টা করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলফু মিয়ার লোকজন।
বিষয়টির সংবাদ উভয় পক্ষের গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে মিরপুর বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে লামাতাশি ও বানিয়াগাঁও গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র ও ইট পাটকেল নিয়ে মিরপুর বাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ রূপ নেয় দুই পরগনায়। উভয় পক্ষের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে লামাতাশি গ্রামের পক্ষে ৫ গ্রাম ও বানিয়াগাঁও গ্রামের পক্ষে ৮ গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পরগনার লোকজনের মধ্যে চলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ। টানা রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
এক পর্যায়ে বশির প্লাজার সামনে থাকা পুবালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেল ও কিছু চেয়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায়।
পরে রাত সাড়ে ১২টার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসলেও মঙ্গলবার আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার সকালে শালিস ব্যক্তিরা গণিজাহান কমপ্লেক্সে বসেন। এক পর্যায়ে মিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামীমকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে লামাতাসি গ্রামের লোকজনদের কাছে গেলে তারা চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে। এখবর ৮ গ্রামের লোকজনের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। বৃষ্টির মতো চলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ। সংঘর্ষ চলে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়কত হাসান, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ লাল ফ্লেগ উড়িয়ে সংঘর্ষকারীদের নিয়ন্ত্রণে আসেন।
সংঘর্ষ শেষ হলে বিকেল ৪টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এব্যাপারে কথা বলতে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমানকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।