ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সিলেটে নগরীর সুবিদবাজারে লন্ডনীরোডের শেষ প্রান্তে গেইট নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকার কতিপয় বাসিন্দা। অথচ লন্ডনী রোডের শেষপ্রান্ত থেকে শুরু হয়েছে হাজীপাড়া। পাশাপাশি রয়েছে বনকলাপড়ার কিছু অংশ। হাজীপাড়া ও বনকলাপাড়ার এ অংশ মিলে কয়েক হাজার লোকের বসবাস। তাদের চলাচলের প্রধান রাস্তা হচ্ছে ঐ লন্ডনী রোড। এলাকার সাধারণ মানুষ, অনেক শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন। অথচ এই রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে রাস্তায় চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার পায়তারা করছেন কতিপয় লোক। এ নিয়ে এলাকায় দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির আশংকা দেখা দিয়েছে। তাই হাজীপাড়া ও বনকলাপাড়ার লোকজন মিলে ২৯/০৯/২০২৪ ইং তারিখে ১২৫ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর সম্বলিত একটি দরখাস্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বরাবরে দাখিল করেছেন। সিটি কর্পোরেশন দরখাস্তটি আমলে নিয়ে এলাকা পরিদর্শণ করে ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
সরেজমিন জানা যায়, হাজীপড়া ও বনকলাপাড়া (আংশিক) লোকজনের চলাচলের প্রধান রাস্তা হচ্ছে লন্ডনী রোড। হাজীপাড়া থেকে বের হওয়ার জন্য আরেকটি রাস্তা রয়েছে। সেটি ৬৫ গলি নামে পরিচিত। যাহা হাজীপাড়া থেকে বনকলাপাড়ার রাস্তায় মিলিত হয়েছে। রাস্তাটি অত্যন্ত সরু। শুধূমাত্র জরুরী প্রয়োজনে তাহা ব্যবহার করা সম্ভব। লন্ডনী রোড সিলেট সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা। হাজীপাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের এলাকা। নগরীর ৭ নং ওয়ার্ড এটি। গত নির্বাচনে এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন সাইদ মোঃ আব্দুল্লাহ। এর আগে আওয়ামীলীগ নেতা আফতাব হোসেন এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিলেটের সব কাউন্সিলরকে অপসারণ করেছেন। এমতাবস্থায় সিটি কর্পোরেশন এ ব্যাপারে জরুরী পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় সংঘাতের আশংকা করা হচ্ছে। তবে হাজীপাড়াবাসী আশা করছেন, সিটি কর্পোরেশন জরুরী ভিত্তিতে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে। কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে যারা আদিযুগের বর্বরতার পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। সম্প্রতি ছাত্রআন্দোলনে স্বৈারাচারের পতন ঘটিয়ে মানুষ তার অধিকার ফিরে পাবার জন্য যে লড়াই করছে ঠিক এসময় এমন স্বৈরাচারী মনমানসিকতা পরিহার করে মানুষকে তার অধিকার নিয়ে বেচে থাকার ব্যাপারে সবাই সচেতন হবেন এমন প্রত্যাশা হাজীপাড়াবাসীসহ অত্র এলাকার বাসিন্দাদের।