• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

করুণ পরিণতি ডেকে আনছে পাকিস্তান : ভারত

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪
করুণ পরিণতি ডেকে আনছে পাকিস্তান : ভারত

জৈন্তাবার্তা ডেস্ক


ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কড়া মন্তব্য করায় তার পাল্টা প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পাকিস্তানকে সতর্ক করেছে ভারত। দেশটি বলেছে, রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে ব্যবহারে পাকিস্তানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে। খবর-এনডিটিভি
ভারত সরকারের ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এ সমালোচনার কারণে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের কথা সবারই জানা। যে দেশে মাদকের কারবার চলে তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের আসল চিত্র সবারই জানা। উদাহরণ হিসেবে ২০০১ সালে ভারতীয় সংসদে হামলা ও ২০০৮ সালে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন তিনি।
ভাবিকা আরও বলেন, সারা বিশ্বের অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের ‘সম্পৃক্ততা’ রয়েছে। আমাদের অবশ্যই স্পষ্ট করতে হবে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথাগুলো আমাদের সকলের কাছে কতটা অগ্রহণযোগ্য। আমরা জানি, পাকিস্তান আরও মিথ্যা দিয়ে সত্যের মোকাবিলা করতে চাইবে। এসবের পুনরাবৃত্তিতে কিছুই পরিবর্তন হবে না। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, কোনো কিছুর পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।
এর আগে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, নয়াদিল্লি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে আজাদ কাশ্মীর দখলের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ভারতকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়ে শাহবাজ শরিফ বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে কোনো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে পাকিস্তান।