ঘুষের রেকর্ড ভেঙেছে ডিসি নিয়োগে
ওয়াল নিউজ ডেস্ক
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন!’ শীর্ষক প্রতিবেদন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ডিসি নিয়োগের ঘটনায় আলোচনায় আসা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের (এপিডি) কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার একটি চেক উদ্ধার করা হয়। পদায়ন হওয়া এক জেলা প্রশাসকের পক্ষে ওই যুগ্ম সচিবকে চেকটি দেন এক ব্যবসায়ী। তবে কাক্সিক্ষত জেলায় পদায়ন না হওয়ায় চেকের বিপরীতে টাকা জমা দেননি ডিসি।
অন্যদিকে সব কিছু ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চেকদাতা ওই ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে তদন্তের জন্য এক সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই কমিটি চেকের সত্যতা যাচাই করবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল করিম মাকসুদ জাহেদীকে এ কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিকে চেকের সত্যতা যাচাই করে আগামী তিন দিনের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামতসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. লিয়াকত আলী সেখ এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন।
এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেছেন আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। বুধবার দেওয়া ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঘুষ খেয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দিতেন। কথাটি ছিলো এমন- এক কোটি টাকা দাও! আর ভিসি হয়ে যাও।’
‘উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাল আমলে ডিসি নিয়োগে যে দুর্নীতির খবর পাচ্ছি তা বিশ্ব দুর্নীতির ইতিহাসে নতুন মাইলফলক তৈরি করল। তিন কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে ডিসি নিয়োগ! তা-ও আবার ক্যাশ চেকের মাধ্যমে! এই খবর শুনে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছে- ডাক্তার দীপু মনি, আপনি আসুন, দেখুন- কিভাবে আপনি পরাজিত হয়েছেন। কিভাবে আপনার রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে। চুপ থাকবেন না দীপু মনি- দোহাই লাগে, কথা বলুন!’