• ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৩ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: যা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা: যা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর ফলে এখন থেকে সেনাবাহিনীর কমিশন্ড কর্মকর্তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেন। এখন থেকে কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তার কিংবা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারবেন তারা।

গত দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ। তবে ৫ই অগাস্টে পট পরিবর্তনের পর নতুন সরকার আসলেও এখনও মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে।

কখনো কখনো বিএনপি নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে দখলদারিত্ব নিয়ে অন্তর্কোন্দলে জড়াচ্ছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিও রয়েছে বিএনপির মধ্যে। যে কারণে এই অভিযানকে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে দলটি।

সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে দেশে ক্রিয়াশীল দলগুলোর।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “কোনো কোনো জায়গায় তাৎক্ষণিক বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য দু’মাসের জন্য এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাদের বিচারিক ক্ষমতা নাই। তারা শুধু গ্রেফতার করতে পারবে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।”

তবে, বিএনপি মনে করছে সেনাবাহিনীর এই ক্ষমতা নিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে তারা পুরোদমে কাজ শুরুর পর।

এদিকে, নৈরাজ্য দমাতে সরকারের কাছে এমন সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প ছিল না বলে মনে করছে জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার বলেন, “আমরা বিশ্বাস করতে চাই শান্তি ও কল্যাণে, নৈরাজ্য থেকে রক্ষা করে দেশের স্থিতিশীল পরিবেশের প্রয়োজনে এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে।”

তবে, এই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেই কথাও বলছে এই দলটি।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া এই মুহূর্তের জন্য যৌক্তিক।”

সেনাবাহিনীর এই ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার শুধুমাত্র দেশে শৃঙ্খলা ফেরাতেই যেন কাজে লাগে সরকারকে সেদিকে নজর রাখার কথাও বলছে রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকরা।

 

সূত্র: বিবিসি বাংলা