
The Wall News.Com
সাদা পাথরে ব্যাপক লুটপাটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
বুধবার এই তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ জানানম মঙ্গলবার এ কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘লুটপাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সাদা পাথরে কী হচ্ছে, কেন হচ্ছে এটি তদন্তের জন্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।‘
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আজ একটা সভা আহ্বান করেছি। সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাছাড়া আমাদের অভিযান তো চলমান আছে। আগামীতেও চলবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তণের পর থেকেই চলছে এই লাগামহীন লুটপাট। প্রকাশ্যে প্রশাসনের সামনেই লুটে নেওয়া হয় সাদাপাথরের পাথর। এরপর প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কিছুদিন বন্ধ ছিলো লুটপাট। তবে গত মাসের শেষ দিকে লুটপাটও আরও বেড়ে যায়। ওই সময়ে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে ঢলের সাথে বিপুল পরিমাণ পাথরও নেমে আসে। এরপর থেকে হাজারও শ্রমিক দিয়ে প্রতিদিন চলে লুটপাট। প্রতিদিন শত শত নৌকা দিয়ে লুটের পাথর নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার পর্যন্ত এই লুটপাট চলে।
তবে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার কারণে মঙ্গলবার সাদাপাথরে গিয়ে পাথর তুলতে কাউকে দেখা যায়নি। যদিও গত ১৫ দিনেই একেবারে বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে সাদাপাথরকে। এই সময়ে কয়েকশত কোটি টাকার পাথর লুটে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কেবল পাথর নয়, নদী তীরের বালিও মাটি খুঁড়েও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সাদা পাথর লুটের সাথে প্রথম থেকে ওঠে এসেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের নাম। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে আসছেন। পাথর লুটের অভিযোগে সোমবার তার পদ স্থগিত করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা লুটপাটে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতার ব্যাপারেও গুঞ্জন রয়েছে।