• ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

বন্যাকবলিত টেক্সাস সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প

The Wall News.Com
প্রকাশিত জুলাই ১১, ২০২৫
বন্যাকবলিত টেক্সাস সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্প

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত টেক্সাস রাজ্যে পৌঁছেছেন। এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। জরুরি সাড়া ও প্রস্তুতি নিয়ে সমালোচনা বাড়তে থাকায় প্রেসিডেন্ট এই সফরে যান।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পসহ প্রেসিডেন্ট এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মধ্য টেক্সাসের হিল কান্ট্রির কেরভিল শহরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। এক সপ্তাহ আগে টানা ভারী বৃষ্টি ও নদীর প্লাবনে ওই অঞ্চলের বহু বাড়ি, ক্যাম্প, যানবাহন এবং মানুষ ভেসে যায়।

কের কাউন্টিতে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৯৬ ছাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা নিহতদের পরিবারের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করব। এটা এক ভয়ংকর ঘটনা।’

সামার ক্যাম্পের পাঁচ কিশোরীসহ ১৭০ জনের বেশি এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকারী দলগুলো আটদিন ধরে ধ্বংসস্তূপ আর কাদার স্তর খুঁজে চলেছে, যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কোনো জীবিত উদ্ধারের খবর মেলেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও জরুরি বার্তা প্রচারে বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভের মধ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে কোনো ধরনের অ্যালার্ম বা সতর্কতা ব্যবস্থা স্থাপন করা দরকার।’

এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কর্মকর্তারাও এই বিপর্যয়ে হঠাৎ আক্রান্ত হয়েছেন। তারাও প্রস্তুত ছিলেন না।’

তবে বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘সরকারের সাড়া তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ছিল।’

এই বন্যা যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিককালের অন্যতম প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফেডারেল দুর্যোগ সংস্থা (ফেমা)’র ভবিষ্যৎ নিয়েও বিতর্ক উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর পরিবর্তে রাজ্যভিত্তিক ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে চান।

ট্রাম্পের স্বাক্ষর করা বড় দুর্যোগ ঘোষণা অনুযায়ী ফেমা টেক্সাসে সাড়া দিলেও তিনি এখন পর্যন্ত সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এদিকে নোয়েম বুধবারের এক বৈঠকে ফেমা-র বর্তমান কাঠামো বাতিলের পক্ষে মত দেন।

কের কাউন্টির শেরিফ ল্যারি লেইথা বলেন, তিনি ‘ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে’ প্রথম জরুরি ফোন কলের কথা জানতে পারেন। কিন্তু এবিসি নিউজ জানায়, ইনগ্রামে এক দমকল কর্মী ৪টা ২২ মিনিটে হান্ট এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বলেন। অথচ কাউন্টির কোড রেড সিস্টেমে বার্তাটি পৌঁছাতে ৯০ মিনিট লেগে যায়।

কিছু ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা পৌঁছায় সকাল ১০টারও পরে, যখন শত শত মানুষ ইতোমধ্যে প্লাবনে ভেসে গেছে।

‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড অ্যালি’ নামে পরিচিত এই এলাকায় গুয়াডালুপ নদীর প্লাবনে অন্তত ৩৬টি শিশুর মৃত্যু হয়। নদীর ধারে অবস্থিত সামার ক্যাম্পগুলো ছিল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ক্যম্প মিস্টিক নামের একটি ক্যাম্পে ২৭ জন কিশোরী ও কাউন্সেলর প্রাণ হারান।