নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন।
অভিযুক্ত সদস্য আজমল হোসেন সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাঁকে শোকজ করার বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন।
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেজ থেকে শোকজের নোটিশ প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব নুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এসেছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে কেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আপনাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করে শোকজ জারি করা হলো।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আজমল হোসেন বলেন, ‘এলাকায় চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা সব সময়ই সোচ্চার থাকেন। তাঁর ধারণা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁরাই এমন অভিযোগ করে থাকতে পারেন।’
চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন উল্লেখ করে তিনি জানান, শোকজের নোটিশ ফেসবুকে দেখেছি, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার হাতে কোনো নোটিশ পৌঁছায়নি।’
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার মুখপাত্র মালেকা খাতুন সারা দ্য ওয়াল নিউজকে বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তবে অভিযোগের পক্ষে-বিপক্ষে সম্পূর্ণ তথ্য-প্রমাণ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি৷ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু তদন্ত করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ওঠেছে, সেটার বিপরীতে তিনি যদি তিন কার্য দিবসের মধ্যে শোকজের বিপরীতে বক্তব্য দিতে অপারগ হোন তবে তাকে বহিষ্কার করা হবে৷’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু চাঁদাবাজির সাথে তার সম্পৃক্ততার কিছু কিছু প্রমাণ আমরা পেয়েছি, এটা যদি পুরোপুরি প্রমাণিত হয় তাহলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতাদর্শের পরিপন্থী (চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ততা) কাজের সাথে জড়িত হওয়ার দায়ে তাকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হবে৷’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন জানান, ‘আমরা নোটিশ দিয়ে তাঁর (আজমল হোসেন) বক্তব্য জানতে চেয়েছি। আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসছে, সে বিষয় যাচাই করতেই তাঁর বক্তব্য জানতে চেয়েছি। তাঁর বক্তব্য জানার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
