
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। নগরীর বিপনী-বিতান থেকে শুরু করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে চলছে শীতের কাপড় কেনাবেচা। পাইকারি বাজারগুলোতেও একই অবস্থা। প্রতিদিন বিকেল থেকেই গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় জমান ক্রেতারা।
সরজমিনে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, ক্বিন ব্রিজের আশপাশসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ভাসমান ব্যবসায়ীরা বাহারি রকমের শীতের কাপড় বিক্রি করেতে দেখা গেছে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনার ধুম।
এছাড়াও শীতের কাপড়ের বেচাকেনা জমে ওঠেছে নগরীর অভিজাত শপিংমলগুলোতেও। জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক, লামাবাজার এলাকার অভিজাত শপিংমলগুলো নিত্য নতুন শীতের কাপড়ে সয়লাব হয়ে আছে। কোনো কোনো দোকানে শীতের কাপড়ে বিশেষ ছাড়ের মাইকিং করেও ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়ানোর কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে।
এবার শীতের জিন্দাবাজার এলাকার ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ী আব্দুল মুকিত জানান, মৌসুমের শুরুতেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। তাই এবার শুরুতেই বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ক্রেতারা দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন।
আম্বরখানা খাসদবির এলাকার বাসিন্দা মাহফুজ আহমদ বলেন, এবার শীত খুব বেশি পড়বে বলে মনে হচ্ছে। কারণ প্রতিদিন সন্ধ্যা নামতেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যায় মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পুরো এলাকা। তাই এবার মৌসুমের শুরুতেই শীতের কাপড় কিনতে হয়েছে।
টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, অভিজাত শপিং মলের তুলনায় ফুটপাতে শীতের কাপড় অনেকটা সস্তা। তাই ফুটপাত থেকে এবার শীতের কাপড় কিনেছি।
এদিকে, শীতের কাপড় বিক্রির ধুম পড়ায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ভাসমান ব্যবসায়ীরা রাস্তার বেশিরভাগ অংশের দখল নিয়েছেন। ফলে যানজট যেমন বাড়ছে তেমনি ফুটপাতেও মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
পথচারীদের দাবি, শীতের কাপড়ের ভাসমান দোকানগুলো যদি একটা নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হয় তবে এ সমস্যা সমাধান হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মহল বিশেষ করে প্রশাসন ও সিলেট সিটি কপোরেশনের নজরদারি কামনা করেছেন তারা।