
ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দরে আমদানিতে ব্যাপক সমস্যা্র সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক মাস ধরে খালাস জটিলতায় এ দুই স্থলবন্দরের বর্ডারে আটকে আছে কয়েক’শ মালবাহী গাড়ি। এ সমস্যা সমাধানে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র দ্বারস্থ হয়েছেন আমদানিকারকরা।
এ বিষয়ে রবিবার (১ ডিসেম্বর) চেম্বার কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধানে তাদের সহযোগিতা চান আমদানিকারকরা।
তারা বলেন- সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়িতে লোড হয়ে চলে আসে। ফলে এসব পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। ইতোপূর্বে তামাবিল ও শেওলায় পাথর শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে পাথরের ওজন নির্ণয় করতেন এবং সে অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হত। যার ফলে আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন না।
কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আমদানিকারকদের কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় তামাবিল ও শেওলায় মালবাহী গাড়ি আনলোড করতে দিচ্ছেন না স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে দুইটি বর্ডারে কয়েক’শ মালবাহী গাড়ি দিনের পর দিন আটকে আছে। এতে গাড়িভাড়া বাবদ আমদানিকারকদের প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি গুণতে হচ্ছে।
এ সমস্যা সমাধান করে আমদানিবাণিজ্য পুনরায় স্বাভাবিক করতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহযোগিতা কামনা করেন আমদানিকারকরা।
এ বিষয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস বলেন, ব্যবসায়ীদের যেকোনো সমস্যায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে সিলেট চেম্বার সদা প্রস্তুত। ব্যবসায়ীরা ঠিকমত ব্যবসা করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একইভাবে আমদানিবাণিজ্য বন্ধ থাকলে পণ্য সরবরাহ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি সরকার প্রতিদিন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন- উদ্ভুত সমস্যাটি নিরসন করে আমদানিবাণিজ্যকে স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং প্রয়োজনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে শীঘ্রই আলোচনা করা হবে।