রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কয়েকজনকে আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে মারধর করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

ওয়াল নিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল হওয়ার কথা ছিল রবিবার। এ কর্মসূচি প্রতিহত করতে সকাল থেকেই রাজধানীর নূর হোসেন চত্বর ও আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের আশপাশে অবস্থান নেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোও এসব এলাকায় অবস্থান নিয়েছিল।
জানা গেছে, বিক্ষোভ মিছিল করতে আসা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। রবিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পল্টন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আমীন।
তিনি বলেন, গুলিস্তানে নূর হোসেন চত্বর, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে অন্তত ১৫ জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। আটকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল। বাংলাদেশে প্রতিবাদ করার মতো দলটির কোনো সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সভা, সমাবেশ ও মিছিলের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে।
অন্তর্র্বর্তী সরকার কোনো সহিংসতা বা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গের প্রচেষ্টাকে বরদাস্ত করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহতের ঘোষণা দেওয়া হয়। সংগঠনটির সমন্বয় হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে এ ব্যাপারে বার্তা দেন। কয়েকটি মহাবিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করে তাদের দাওয়াতও দেন। এরপরই সকাল থেকে গুলিস্তান এলাকায় ছাত্র-জনতার ঢল নামে।
এসবের আগে ‘শেখ হাসিনার কণ্ঠের’ একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয় দেশে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি হাতে মিছিল বের করার পরামর্শ দেন। নূর হোসেন দিবসে নেতাকর্মীদের মিছিল করতেও বলেন তিনি।