• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মুনতাহা নিখোঁজ: ৬দিন পরও মিলেনি সন্ধান

The Wall News.Com
প্রকাশিত নভেম্বর ৯, ২০২৪
মুনতাহা নিখোঁজ: ৬দিন পরও মিলেনি সন্ধান

এম মিফতা হাসান


নিখোঁজ হওয়ার ছয়দিন পরও সন্ধান মিলেনি কানাইঘাটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের (৬)। এদিকে পরিবারের ছোট কন্যাকে হারিয়ে পাগল প্রায় তার পিতা-মাতা ও পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে শনিবার (৯ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। নিখোঁজ শিশুকে ফিরে পেতে পরিবারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ঘোষণা করা হয়েছে আর্থিক পুরস্কারের কথাও।

মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের (৭০) মেয়ে।

শিশুটির বাবা শামীম আহমদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘গেল রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাড়ির পাশে খেলতে বের হয় মুনতাহা। এরপর থেকে নিখোঁজ হলে বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, যেকোনো কিছুর বিনিময়ে মুনতাহাকে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত চাই। আল্লাহ আমার ছোট্ট মেয়েটিকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিক।‘ এ সময় নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান পেতে সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন শামীম আহমদ। এছাড়া যে তার মেয়ের সন্ধান দিতে পারবে তাকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বোনের এমন নিখোঁজের সংবাদে তার বড়ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহেদ আহমদ গত ৬ নভেম্বর এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমার বোন মুনতাহার জীবনের বিনিময়ে কী চান, বলুন….আল্লাহর কসম, যা চাইবেন তা দিব। বিনিময়ে শুধু আমার বোনটিকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিন।‘ এসময় তিনি তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিও পোস্টে সংযুক্ত করে দেন।

এ ঘটনায় খালেদ আহমদ শাহীন নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী তার ফেসবুক লাইভে বলেন,’মেয়েটি (মুনতাহা) আমার আত্মীয়স্বজন কেউ না, তবে তার মতো আমারও একটি ছোট মেয়ে আছে। যে ব্যক্তি মুনতাহার সন্ধান দিতে পারবেন তাকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও বলেন তিনি।

এদিকে নিখোঁজের পাঁচ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শিশুটির সন্ধান না পাওয়ায় সবার সহযোগিতা কামনা করছে তার পরিবার। তাই কেউ শিশুটির সন্ধান পেলে 01799675627, 01732473426, 01753112448, এবং 01728187655 নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করা হয়েছে। তদন্তের সাপেক্ষে গঠিত একটি টিম অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’