ওয়াল নিউজ ডেস্ক
জৈন্তাপুরে দাফনের ৪ মাস পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মৃত ব্যক্তি লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তি হলেন সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা মইনুল হোসেন আয়ানি (৫০)।
রবিবার দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
১৩ জুন রাত ১২টায় মইনুল হোসেন আয়ানি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে সিলেট গ্যাস ৮নং কূপের সামনে মোটরসাইকল দুর্ঘটনায় কবলিত হন। পরে স্বজনরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়ানির লাশ দাফন করেন। পরে এটা দুর্ঘটনায় নয় বরং তিনি হত্যার স্বীকার হয়েছেন -এমন সন্দেহ হলে নিহতের ভাই নজমুল হোসাইন (এমদাদ) বাদী হয়ে ৯ জনের নামে সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ৩ অক্টোবর জৈন্তাপুর মডেল থানা মামলাটি আমলে নিয়ে রেকর্ড করে।
মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়- সড়ক দুর্ঘটনা নয় বরং একটি শালিশ বৈঠককে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে মইনুল হোসেন আয়ানিকে হত্যা করা হয়েছে। এমন অভিযোগে মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
নিহত আয়ানী জৈন্তাপুরের চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর গ্রামের মরহুম ঈসা মেম্বারের ছেলে। জুন মাসে উমনপুর হাইওয়ে ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন আজাদ খানের বাড়িতে লিচু চুরির ঘটনায় আসামী উমর আলী (২২), আসামী সোহেল আহমদ বারেক (২২), আসামী ইউসুফ আলী (২২) এর বিরুদ্ধে সালিশে আয়ানি জোরালো ভূমিকা রাখেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১৩ জুন রাতে রাস্তায় ডিআই পিকআপ দিয়ে আয়ানির মোটরসাইকেল গতিরোধ করে লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীরা সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে আয়ানীর পরিবার, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ডিআই পিকআপ গাড়িটি ঐ রাতেই হরিপুর এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় জব্দ করা হয়। এই ঘটনায় প্রথমে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো।