• ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ফেসবুকে লাইভ করে গ্রেপ্তার এড়ালেন ইউপি চেয়ারম্যান

The Wall News.Com
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২৪
ফেসবুকে লাইভ করে গ্রেপ্তার এড়ালেন ইউপি চেয়ারম্যান

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


পুলিশ দেখেই ফেসবুকে লাইভ শুরু করেন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাহেল। এই লাইভ দেখে আশপাশের অনেকে জড়ো হন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও লোক জড়ো করা হয়। ফলে ইউপি চেয়ারম্যানকে আর গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মোটরসাইকেলযোগে থেকে চলে যান চেয়ারম্যান সাহেল।
এ ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। ফেসবুক লাইভ করে গ্রেপ্তার এড়ানো চেয়ারম্যানের পুরো নাম সাহাব উদ্দিন সাহেল। তিনি ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মিয়ার ছেলে।
যদিও পুলিশ বলছে, মসজিদে মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জড়ো করে পুলিশকে মারধর করে চেয়ারম্যানের লোকজন। আর পুলিশের সংখ্যা কম হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে বুধবার দুপুরে ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাব উদ্দিন বলেন, পুলিশের সাথে খারাপ আচরণ ও হামলার অভিযেগে ইউপি চেয়ারম্যান সাহেলের বিরুদ্ধে এসল্ট মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদর থানায় নাশকতা ও হামলার অভিযেগে মামলা হয়েছে। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই জাউয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলো।
সাহাব উদ্দিন সাহেল ছাতক পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম চৌধুরীর ভাগনে। তিনি ছাতক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত নির্বাচনের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।
এই ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুক একাউন্টে নাম সাহেল আহমদ। প্রায় ২০ মিনিট লাইভে পুলিশের সঙ্গে তাকে তর্কবির্তক করতে শোনা যায়।
ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, একদল পুলিশ সদস্য তার কার্যালয়ে ঢুকে তাকে বের হওয়ার অনুরোধ করছেন। কিন্তু সাহাব উদ্দিন চেয়ারে বসে তাকে গ্রেপ্তারের পক্ষে কোনো কাগজপত্র আছে কি না, পুলিশকে দেখাতে বলছেন। তার সঙ্গে সেখানে থাকা অন্য লোকজনও পুলিশকে কাগজপত্র বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছেন। একপর্যায়ে এলাকার মসজিদের মাইকে এব্যাপারে ঘোষণা দেয়া হলে লোকজন সেখানে জড়ো হন। এ সময় কিছু লোককে পুলিশের সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যায়।
একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান তার কক্ষ থেকে বের হয়ে পুলিশের সামনেই মোটরসাইকেলে করে সেখান থেকে চলে যান।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য সাহাব উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।