• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চা শ্রমিকদের জন্য এক টাকার পূজার বাজার

The Wall News.Com
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৪
চা শ্রমিকদের জন্য এক টাকার পূজার বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রায় ৪ সপ্তাহ যাবৎ বেতন পাচ্ছেন না কালাগুল চা বাগানের শ্রমিকরা। এরই মধ্যে পুজোর ঘন্টা শুরু হতে সামান্য সময় বাকী। এই উৎকন্ঠার সময়ে পছন্দের নতুন পোষাক নিয়ে ঘরে ফেরা যেন দেবী দুর্গার আগমনের পূর্বে শুভেচ্ছা স্বরুপ অগ্রীম উপহার।

আর পূজোর ঠিক আগ মুহূর্তে বাগানের এই সুবিধা বঞ্চিত নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটাতে এমনই উপহার স্বরুপ হাজির হয়েছে ‘শাশ্বত ৯২ বন্ধু ফোরাম’র এক টাকায় পূজার বাজার। ঋনে নয়, দানে নয়, উপার্জিত অর্থেই পূজোর আনন্দ। পূজোর আগ মুহূর্তে এই আনন্দের হাসি ফুটেছে চা শ্রমিকদের ঘরে।

এই এক টাকার বাজারের পণ্য সামগ্রীর মাঝে রয়েছে নারীদের জন্য শাড়ী, পরুষদের জন্য ধুতি, শার্ট, পাঞ্জাবি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য খাতা, কলমসহ শিক্ষা সামগ্রী, চকলেট, শুকনো খাবার ও খেলনা সামগ্রী।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য প্রায় দেড়শ পরিবারের মাঝে এক টাকায় পূজার বাজার ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে শাশ্বত ৯২ বন্ধু ফোরাম।

শনিবার সিলেট সদর উপজেলার কালাগুল চা বাগানে নামমাত্র মূল্যে এই এক টাকার বাজারের শুভ উদ্বোধন করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির।

এসময় অন্যান্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাগান পঞ্চাইত কমিটির সভাপতি রঞ্জিত নায়েক রঞ্জু, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সোহাগ ছত্রী, মঙ্গল চাষা, গৌরাঙ্গ পাত্র, পুরোহিত মাধব চক্রবর্তী এবং শাশ্বত ৯২ বন্ধু ফোরামের সদস্য ও পরিবার বর্গ।

নামমাত্র একটাকা মূল্যে পছন্দের পোষাক হাতে পেয়ে আনন্দ ভরা কন্ঠে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেফালী কর্মকার বলেন, চার সাপ্তাহ যাবৎ বেতন হচ্ছেনা। কবে পাব তাও ঠিক নাই, তবে যাদের জন্য পূজোয় নতুন কাপড় পেলাম তাদের জন্য প্রাণভরে আশীর্বাদ। শুধু শেফালী নয় এক টাকায় নতুন পোষাক হাতে পেয়ে আনন্দে বিমোহিত হয়ে পূজার আগেই আনন্দের হাসি নিয়ে ঘরে ফিরছে কালাগুল বাগানের শ্রমিকরা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফোরামের সদস্যরা বলেন, সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী সব সময় সুবিধা বঞ্চিত। তাই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য এক টাকার বাজার নিয়ে আমরা উপস্থিত হয়েছি। যাতে শ্রমিকরা টাকার বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে পণ্য সামগ্রী নিবেন এবং নিজেদের সম্মানিতবোধ করবেন। সামর্থ অনুযায়ী আমরা এসেছি আশাকরি অন্য সামাজিক সংগঠনও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে।