ওয়াল নিউজ ডেস্ক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার পর স্থল হামলাও শুরু করেছে ইসরায়েল। এই হামলায় আতঙ্কের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি কর্মী। তাঁরা একাধিকবার বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাস ঢাকার সিগন্যালের অপেক্ষায় রয়েছে।
বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘লেবাননের বিমানবন্দর থেকে তাঁদের নিজস্ব কয়েকটি ফ্লাইট চালু রয়েছে। অন্যান্য দেশের বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশ তাদের চার্টার্ড ফ্লাইটে ১০০ থেকে ১৫০ জন নাগরিক নিয়ে যাচ্ছে। আমাদেরও কিছু কর্মী দেশে ফিরে যেতে চাইছেন। আমরা তাঁদের কথা আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। ঢাকা থেকে যদি এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তখন আমরা তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেব।’
তবে কবে নাগাদ কর্মী ফেরত পাঠানো শুরু হতে পারে তা বাংলাদেশ দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, লেবাননে অবস্থানরত কর্মীদের ফেরত আনার বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে বৈঠক করেছে অন্তর্র্বর্তী সরকার। বৈঠকে আইওএমের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কর্মীদের ফেরত আনার ব্যাপারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলেই বাংলাদেশি কর্মীদের ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছে আইওএম।
দূতাবাসের অসহযোগিতার অভিযোগ : দূতাবাস থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার কথা বলা বাদে আর কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীরা। লেবাননে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মী ইমরান নাসির বলেন, ‘আমরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছি। গোসল, খাওয়াসহ সব কিছুর সংকট তৈরি হয়েছে। দূতাবাস থেকে শুধু নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলে। কিন্তু ওখানে তো থাকার মতো জায়গা নেই। গতকাল দূতাবাস থেকে লোকজন এসেছিল। আমরা দাবি জানিয়েছি, আমরা দেশে ফেরত যেতে চাই। তাঁরা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে কিভাবে দেশে ফেরত পাঠাব। অনেকের কাগজপত্র ঠিক নেই। এদিকে মানুষ মরে, ওই দিকে তাঁরা কাগজপত্র নিয়ে পড়ে আছেন।’
কর্মীদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রবাসীরা নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন।