ওয়াল নিউজ ডেস্ক
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পুকুর থেকে চার মাসের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ভাবি ও ননদের ঝগড়ার জেরে ওই শিশুকে তার ফুফু ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত শিশু মাহমুদা আক্তার মীম চরগাঁও গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেন ও মিনারা বেগমের কন্যা।
বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ থানার (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত শিশুর ফুফু পপি বেগম ও দাদি মরিয়ম বিবিকে হবিগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করলে মরিয়ম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মিনারা আক্তার এ দুজনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে (ওসি) জানান, মিনারা আক্তারের সঙ্গে তার শাশুড়ি মরিয়ম বিবি ও ননদ পপি বেগমের পারিবারিক কলহ চলছিল। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে গত মঙ্গলবার ভোরে ননদ পপি একা ঘুমিয়ে থাকা মিনারার ৪ মাস বয়সী শিশু কন্যা মীমকে বিছানা থেকে তুলে নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় জলাশয়ে ফেলে দেন। মিনারা তখন রান্না ঘরে। কাজ শেষে ঘরে ফিরে মেয়েকে না পেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করেন। পরে বাড়ির পাশের জলাশয় থেকে শিশুটির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরিয়ম বিবি আদালতকে বলেন, ‘ভোরে আমার মেয়ে পপি ছাড়া আর কোনো লোক ঘরে ছিল না। মীমকে পুকুরে ফেলার সময় পানির শব্দ শুনেছি। এই কাজ আমার মেয়েই করেছে।’
এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকমুখে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা।