ওয়াল নিউজ ডেস্ক
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ইসরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে গুতেরেসকে ‘একজন ইসরায়েলবিরোধী মহাসচিব যিনি সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেন’ বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎজ।
বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের বিস্তৃতি বৃদ্ধির পর ক্রমবর্ধমান হওয়ার নিন্দা জানান গুতেরেস। তিনি এই সংঘাত বন্ধ করার আহ্বান জানান।
গুতেরেস বলেছিলেন, এই অঞ্চলে ‘সত্যিকার অর্থেই’ একটি যুদ্ধবিরতি দরকার। তবে বিবৃতিতে ইরানের হামলার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেননি তিনি। এই বিষয়টিই ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করেছে। বুধবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাটৎজ জাতিসংঘের মহাসচিবকে ‘পারসোনা নন-গ্রাটা’ ঘোষণা করেছেন। অর্থাৎ জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে গুতেরেস যে কূটনৈতিক সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেটা ইসরায়েল তাঁকে দেবে না। কাটৎজ বলেন, ‘যিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলের ওপর ইরানের জঘন্য হামলার নিন্দা করতে পারেন না, তিনি ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখার যোগ্য নন।’
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর থেকেই গুতেরেসের ইসরায়েলবিরোধী নীতির সমালোচনা করে আসছেন কাটৎজ। চলমান এই সংঘাতের বিস্তৃতি বেড়ে সর্বশেষ ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালালে এই সংঘাতের শুরু হয়েছিল। ওই হামলায় ইসরায়েলের প্রায় ১ হাজার ২০০ নাগরিক নিহত হন। আর ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এর পর থেকে গাজা শহরে টানা বোমাবর্ষণ ও হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪১ হাজার ৬৮৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে।
সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএয়ের ভূমিকা নিয়েও ইসরায়েল ও জাতিসংঘের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল অভিযোগ করে, সংস্থাটির কয়েকজন কর্মী ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত ছিল।
চলমান সংঘাতে গাজায় বিমান হামলার জন্য শুরু থেকেই ইসরায়েলের সমালোচনা করে আসছে ইউএনআরডব্লিউএ। ইসরায়েলের বিমান হামলায় এই সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীও নিহত হয়েছেন।