ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সুনামগঞ্জে ডুবে যাওয়া ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে দুই ভাইয়েরই মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বিশ্বম্ভরপুর সদরের সামনের করচার হাওরে। একইদিন দুপুরে বজ্রপাতে হয়েছে আরেক শ্রমিকের।
নিহতরা হচ্ছে, উপজেলা সদরের রাধানগর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ইউনুস মিয়া (৮) ও শক্তিয়ারখলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে আরাফাত হাসান মেহেদী (৭)। তারা সর্ম্পকে ফুফাতো-মামাতো ভাই।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে পানিতে ডুবে মৃত্যু ঘটে দুই শিশুর। এরা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। নিহত শিশুরা হচ্ছে, ইউনুস মিয়া (৮), সে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম রাধানগরের ফজলুল হকের ছেলে। অপর নিহত শিশু আরাফাত হাসান মেহেদী (৭), তার ফুফাতো ভাই। সে উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামের মনোয়ার হোসেন ময়নার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মামার বাড়ীতে থেকে পড়াশুনা করতো আরাফাত। শনিবার দুপুরে মামাতো ভাই ইউনুস ও আরাফাত উপজেলা সদরের সামনের করচার হাওরে খেলার ছলে পানিতে নামে। এসময় এক ভাই ডুবে গেলে, বাঁচানোর জন্য আরেক ভাইও ডুবে মারা যায়। কিছুক্ষণ পর একজনের লাশ ভেসে ওঠে। শেষে খোঁজাখুঁজি করে আরেকজনের লাশ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করা হয়।
এদিকে দুপুরে বজ্রপাতে উপজেলা সদরের পাশের গ্রাম মুক্তিখলার একজন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। নিহত শ্রমিক উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে ইমদাদুল ইসলাম (৫০)। দুপুর দেড়টায় বাড়ীর সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় মারা যান তিনি।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি কাউছার আলম তিনজনের মৃত্যুর খবর জানিয়ে বললেন, বজ্রপাতে একজন এবং পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।