• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত কানপুরে দ্বিতীয় দিনের খেলা

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত কানপুরে দ্বিতীয় দিনের খেলা

বৃষ্টিতে ঢেকে রাখা হয়েছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের আউটফিল্ড

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


সম্ভবত কানপুর টেস্ট দিয়েই সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে। এ কারণে হয়ত প্রকৃতিরও মন ভাল নেই! শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনের বেশিরভাগ সময় বৃষ্টির পেটে চলে যাওয়ার পর আজ শনিবার দ্বিতীয় দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। অর্থাৎ দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি চলমান থাকায় মাঠ একেবারেই খেলার অনুপযোগী হয়ে গেছে। যে কারণে আম্পয়াররা দ্বিতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। এতে করে হয়ত বাংলাদেশই লাভবান হয়েছে! কেননা প্রায় দুই দিন বৃষ্টি হওয়ায় এখন টেস্টটা অন্তত করার সুযোগ থাকছে টাইগারদের সামনে। কিন্তু এসব বাদে আরেকটি বড় প্রশ্নও সামনে এসে গেছে।
সেটি হচ্ছে, কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম খেলার জন্য কতটা উপযুক্ত? আদৌ কি এমন মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন যথার্থ? আনুসঙ্গিক অনেক কারণে এমন প্রশ্ন সবার সামনে চলে এসেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের উদ্বৃতিতে জানা গেছে, ভারতের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর একটি কানপুর। এই সময়ে একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের অন্যতম হলো জায়ান্ট স্ক্রিন। কিন্তু কানপুর স্টেডিয়ামে সেটিও নেই। অস্থায়ীভাবে টেস্টের জন্য দুটি জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই পাশের গ্যালারি নিচের দিকে লাগানো হয়েছে। কিন্তু তা স্টেডিয়ামের সবার পণ্য দেখা সম্ভব নয়। ফ্লাড লাইটও নিচু। পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।
বৃষ্টির পর অবশ্য ২২ গজে খেলা শুরু হতে খুব একটা সমস্যা হয় না। সুপার সুপার দিয়ে দ্রুতই মাঠকে খেলার উপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু বাইরে প্রচুর পানি জমে যায়। যেখান দিয়ে হাঁটা-চলা করা সম্ভব হয়ে উঠে না। সাধারণত দেখা যায় বৃষ্টি হলে শুধু উইকেট ঢেকে রাখা হয়। কিন্তু কানপুরে পুরো মাঠটাকে ঢেকে রাখা হয়েছে।
এর মূল কারণ, মাঠের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। পানি জমে মাঠ একদম নরম হয়ে গেছে। পা দিলেই মাটিতে দেবে যাওয়াসহ কাদাময় হয়ে উঠছে। পানি নিষ্কাষণের সঠিক ও কার্যকরি পদ্ধতি না থাকার কারণেই মাঠের এমন বেহাল অবস্থা। যে কারণে বৃষ্টি থেমে গেলেও মাঠ খেলার উপযোগী হতে অনেক সময় লেগে যায়। এমন মাঠে তাই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন কতটা যৌক্তিক এমন কথা চাউর হয়ে গেছে।