• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল হবে এসএসসির ভিত্তিতে

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪

ওয়াল নিউজ ডেস্ক


এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রস্তুতে অবশেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাতে বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রে শুধু পরীক্ষার্থীদের এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানের সই করা চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যেসব বিষয়ে প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি, সেসব বিষয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর স্ব স্ব এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলকে শতভাগ ভিত্তি ধরে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফল প্রস্তুত করতে হবে।
ফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে এ দুটি নির্দেশনা মেনে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রস্তুত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে দেওয়া নির্দেশনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি জাগো নিউজকেজ বলেন, চিঠি পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, সেভাবে ফল তৈরি করা হবে। এরপর ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে প্রস্তাব অনুমোদন হলে চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারবো আমরা।
কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হবেÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিগগির আমরা ফল প্রকাশের সম্ভাব্য একাধিক তারিখ ঠিক করবো। সেগুলো জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারিখ চূড়ান্ত করে প্রস্তাবটি অনুমোদন হয়ে আসবে। তারপর আমরা চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশের তারিখ জানাতে পারবো।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ীÑ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সূচি অনুযায়ীÑ৩ দিনের মোট ৬১ বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ বাকি ছিল। বিভিন্ন বিভাগের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) বিভিন্ন বিষয় থাকায় এতগুলো পরীক্ষা স্থগিত এবং পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তা বাতিল করা হয়।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা যেসব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি, সেগুলোর জন্য আদায় করা ফি ফেরত দেওয়া হবে। তত্ত্বীয় বা লিখিত পরীক্ষার জন্য পত্রপ্রতি নেওয়া ৪০ টাকা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য পত্রপ্রতি বা বিষয়ের জন্য নেওয়া ৪৫ টাকা পরীক্ষার্থীদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বোর্ড।