ওয়াল নিউজ ডেস্ক
মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্নামে স্কুল পুড়য়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় পিতাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপর জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনোহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চৌমুহনী খুর্শেদ হাইস্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মিম আক্তারকে (১৩) স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের জাকির নাছির মিয়া (২০)। সামাজিকভাবে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করে আসছিলেন পিতা সজিব মিয়া (৪০)। সজিব মিয়া সাবেক মেম্বার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে মিম আক্তারকে উত্ত্যক্ত করে নাছির। জানতে পেরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাসির মিয়া সজিব মিয়াকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। এসময় নাছির মিয়ার পক্ষের লোকজন এসে সজিবকে পেটায়। এতে সজিব মিয়া মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সজিবের শরীরের বিভিন্ন জায়গায়ও লীলাফুলা জখম হয়। চিৎকার চেচামেচি শুনে সজিবের স্বজনেরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করে নাছির মিয়া ও তার লোকজন। এ ঘটনায় সজিব ছাড়াও জাদু মিয়া (২৫), রনি মিয়া (২০), মুত্তাকিন (৩০) সহ অপর ৪/৫ জন আহত হয়। সজিব সহ আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার সজিব মিয়াকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা সজিবের মাথার গুরুতর আঘাত দেখে সিটিস্ক্যান করতে পরামর্শ দেন। সজিব মিয়ার ছোট ভাই কলেজ শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কয়েকমাস আগে আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে সজিব মিয়াকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছিল নাসির ও খায়ের ও অন্য অভিযুক্তরা। তখন বাধ্য হয়ে মুখ বুঁজে সহ্য করেছেন তারা।