ওয়াল নিউজ ডেস্ক
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারসহ কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ও বৈষম্যের শিকার মাঠ প্রশাসনের কর্মচারীগণের সকল ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করার জন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারীরা।
রবিবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকীর কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ এর আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীবৃন্দ। নতুন বাংলাদেশে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারসহ কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ যুগোপযোগী করে সচিবালয়ের সাথে মাঠ প্রশাসনের সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। আমরা আন্দোলন বা কোনো ধরণের কর্মসূচিতে বিশ্বাসী নই। সরকারের আনুগত্য ও বিশ্বাস অর্জন করাই আমাদের পেশা, সরকারি দায়িত্ব ও জনগণের সেবা প্রদান করাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
কর্মচারীদের দাবিসমূহ হলো- এক দেশ এক আইন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সচিবালয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে মাঠ প্রশাসন তথা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কার ও কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০ যুগোপযোগী করাসহ ফিডার পদে চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ, ২০০৯ সালের পে-স্কেল এর ন্যায় টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড এবং টাইপিং দক্ষতাজনিত ইনক্রিমেন্ট ব্যবস্থা চালুক্রমে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ৩০%-৪০% মহার্ঘ্য ভাতাসহ ইতোমধ্যে যাদের মূল বেতন শেষ ধাপে পৌঁছেছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিতকরণ, বৈষম্যমুক্ত নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নক্রমে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতন গ্রেডের বৈষম্য দূরীকরণসহ বেতন গ্রেড সংস্কার।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন- উপ-সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিলীপ কুমার রায়সহ সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মচারীগণ।