ওয়াল নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ। এতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে জনজীবনে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের প্রথম দিনে তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলেনি। সকালে খাগড়াছড়িতে সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা।
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে চারজন নিহত, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবিতে শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ), সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠন।
এদিকে রাঙ্গামাটিতে বাস ট্রাক সিএনজি মিনিট্রাক চালক মালিক ঐক্য পরিষদের ডাকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। রাঙ্গামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছেন তারা। ধর্মঘটের কারণে শনিবার সকাল থেকে চলছে না শহরের একমাত্র গণপরিবহন অটোরিকশা। গাড়িশূন্য শহর থেকে ছাড়েনি দূরপাল্লার কোনো বাসও।
অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেছেন, শুক্রবার বিনা উস্কানিতে অসংখ্য গাড়ি ভাঙচুর করেছে পাহাড়িরা, কয়েকজন চালককেও মেরে আহত করেছে। এর প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে আমরা পরিবহন ধর্মঘট শুরু করেছি।