• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শুল্ক প্রত্যাহার

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪

ওয়াল নিউজ ডেস্ক

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার কারণ দেখিয়ে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে রপ্তানিকে নিরুৎসাহিত করেছিল ভারত সরকার। দীর্ঘ চার মাস নয় দিন পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। এতে হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও কমে আসবে বলে আশা করছেন আমদানিকারকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমারের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। সেই বিজ্ঞপ্তির কপি পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, ভারতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্য বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল ভারত। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৪ মে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত সরকার। এরপর হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হলেও দেশের বাজারে কমেনি দাম।
শুল্ক আরোপের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পেঁয়াজের দাম। এ কারণে বিকল্প মিশর ও পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে ভারত সরকার। সেই দামেই হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন আমদানিকারকরা। এরপর ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ার কারণ দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমারের সই করা এক পত্রের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। যা ৪ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছিল ভারত।