ওয়াল নিউজ ডেস্ক
হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে তাঁবু দিয়ে তৈরি আশ্রয় ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ঘটনায় কমপক্ষে অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে পোলিও টিকা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত জাতিসংঘের কর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘের গাড়ি। এ ছাড়া গাজার পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ভোরের আগে খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় নিরাপদ এলাকা বলে ঘোষিত অন্তত ২০টি তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় বাস্তুচ্যুতরা তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিলেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী খান ইউনিস এবং নিকটবর্তী রাফায় স্থল আক্রমণের সময় উপকূলীয় এই অঞ্চলটিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর পর থেকে আল-মাওয়াসির এই তাঁবু ক্যাম্পে অনেক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। আলজাজিরা বলছে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের চাপে আল-মাওয়াসি কার্যত উপচে পড়ছে।
জীবিতদের সন্ধানকারী উদ্ধারকারীরা বলেছেন, হামলার পর তারা তাঁবুর শিবিরে ৯ মিটার (৩০ ফুট) পর্যন্ত গভীর গর্ত খুঁজে পেয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই এলাকায় বিশৃঙ্খল দৃশ্য বর্ণনা করেছেন।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ঘটনাস্থলের প্রাথমিক মূল্যায়নে যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে তা হচ্ছে- আক্রমণটি ‘এই উন্মত্ত যুদ্ধের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যাগুলোর একটি।’
তিনি আরো বলেন, হামলায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করতে অ্যাম্বুল্যান্স এবং সিভিল ডিফেন্স ক্রুদের সমস্যা হচ্ছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হামাস সন্ত্রাসীকে’ আঘাত করেছে, যারা খান ইউনিসের মানবিক অঞ্চলের ভেতরে একটি কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রে কাজ করছিল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার মানুষ নিহত এবং আরো ৯৪ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।