• ১৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৩ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

কোম্পানীগঞ্জে দোকানপাট ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ১০

The Wall News.Com
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪

ওয়াল নিউজ ডেস্ক

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দোকানপাট ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ৩ নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়নের টুকেরবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, টুকেরবাজারের দারু মিয়ার ছেলে খায়েস মিয়ার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ইসলামপুর গ্রামের মৃত রতন মিয়ার ছেলে মোহনের হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি তৎক্ষনাৎ মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মোহনের পক্ষের শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে খায়েস মিয়ার বাড়িতে এবং তাদের দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুুর চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের কয়েকজনকে জখম করে। এসময় আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন- খায়েস মিয়া (৪০) তার স্ত্রী নয়নতারা (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫), তার ছেলে শাহিন (২৫), চমৎকার বেগম (৭০), তার মেয়ে বৃষ্টি বেগম (২১), শরীফ (১২), মুন্না মিয়া (২২), মোহন (২৫) ও মাসুক মিয়া (৪৫)। তাদের মধ্যে চমৎকার বেগম, নুর মোহাম্মদ ও শাহিনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত কয়েকজনকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার প্রভাকর রায় বলেন, রাতে ১৬ জন রোগী আহত অবস্থায় এখানে আসেন। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৯ জনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও রাধানগর গ্রামের হাশমত আলী বলেন, মোহন মিয়া একজন জারের পানি সাপ্লাইয়ার। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকালে সে টুকেরবাজার ‘তিন ভাই রেস্তোরাঁ’য় পানি দেয়। পানির বোতলে ময়লা পাওয়ার অভিযোগ আনেন রেস্তোরাঁর সামনের পানের দোকানদার খায়েশ মিয়া। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন খায়েস মিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে মারধর এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।
তিন ভাই রেস্তোরাঁর মালিক মো. আলম বলেন, আমরা খায়েস মিয়ার ভাতিজা জাহাঙ্গীরের ঘর ভাড়া নিয়ে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করি। এখানে আমরা কোনো পক্ষ না। ঘটনার সময় আমাদের রেস্তোরাঁয় ভাঙচুুর ও লুটপাট হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।