ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
ওয়াল নিউজ ডেস্ক
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে একই ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের বাসিন্দা জিএম কিবরিয়া (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ী বাদি হয়ে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন(২৮), ধর্মপাশা গ্রামের বাসিন্দা জুমন মিয়া(২৯), হামিদ মিয়া (৪২), পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ উপজেলার পাবই গ্রামের বাসিন্দা মোফাজ্জল (৪৫) ও সঞ্জু মিয়া (৪৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপজেলার জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী তারই ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী জিএম কিবরিয়ার কাছে নৌকার পক্ষে নির্বাচনে খরচ করার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ব্যবসায়ী জিএম কিবরিয়া চেয়ারম্যানকে এত টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এতে ব্যবসায়ী কিবরিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী এবং এজন্য চরম খেসারত দিতে হবে বলেও কিবরিয়াকে হুমকি দেন ওই চেয়ারম্যান। এ অবস্থায় গত ২০২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে ব্যবসায়ী জিএম কিবরিয়াকে জয়শ্রী বাজারে একা পেয়ে চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামিরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং এ বিষয় কোনো মামলা বা কোথাও কোনো অভিযোগ করিলে তাকে প্রাণে মারা হবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা চলে যান। এরপর এ ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর বৃহস্পতিবার দুপুরে ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যবসায়ী জিএম কিবরিয়া বাদি হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরীসহ ৬ জনকে আসামি করে এ অভিযোগটি দায়ের করেন।
আদালতে এ ধরনের একটি অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাদি পক্ষের আইনজীবী এ্যডভোকেট আরফান আলী বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদির এ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধর্মপাশা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে এমন একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসাইন রানা নামে যাকে প্রধান স্বাক্ষী করা হয়েছে, তিনি আমার সাথে ইউপি নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বারবারই পরাজিত হয়েছেন। মূলত তারই প্ররোচনায় জিএম কিবরিয়া আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।