ওয়াল নিউজ ডেস্ক
বিশ্বনাথে ২০১৩ সালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের সময় জামায়াত সমর্থিত গোলাম রব্বানীর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত হিসেবে আরো ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়।
মঙ্গলবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আমলী আদালতে (৩) মামলাটি দায়ের করেন নিহতের চাচা এবং বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত তাসনিম মামলাটি আমলে নিয়ে বিশ্বনাথ থানাকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়েছে কি-না পুলিশ রিপোর্টসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলায় সাবেক প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাড়াও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুনু মিয়া, তৎকালীন বিশ্বনাথ থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদসহ মোট ৭২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকা ব্যক্তি, পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের আরও ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মতিউর রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ব ঘোষিত হরতালকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথ উপজেলায় একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকালে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে মিছিল চলাকালে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। এতে গুলিতে গোলাম রব্বানীসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে গোলাম রব্বানীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাদী আরো অভিযোগ করেন- তার ভাতিজা গোলাম রব্বানীর হত্যাকাণ্ড ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা, যা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছিল। মামলায় তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আবেদন জানান তিনি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, আদালতে অভিযোগ করার বিষয়টি শুনেছি। কাগজপত্র এখনও আসেনি, আসলে প্রতিবেদন পাঠাবো।
প্রধান সম্পাদক: জাকেরিন চৌধুরী জয়
অফিস: ১০৪/১১ নূরানী বনকলাপাড়া,
সুবিদ বাজার সিলেট।
মোবাইল : ০১৬০১০৩৮৪৮১, Email: thewallnews181@gmail.com